জাতিসংঘের ৬৯তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে আসবেন। ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিউ ইয়র্কে তার অবস্থানের কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী কে সংবর্ধনা জানানোর অগ্রিম প্রস্তুতি নিতে ৭ সেপ্টেম্বর রোববার সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে দু’টি পৃথক স্থানে নিউ ইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ এবং যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ সভা দুইটির আয়োজন করে।
ইতোমধ্যে শেখ হাসিনার এই সফরের সব কর্মসূচিতে বাধা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলো। তাদের পক্ষ থেকে ‘যেখানে হাসিনা সেখানেই প্রতিরোধ’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
জ্যাকসন হাইটসের দুইটি সভা থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগও এর পাল্টাপাল্টি ‘যেখানে বিএনপি সেখানেই প্রতিরোধ’ কর্মসূচি ঘোষণা করে।
নিউ ইয়র্কের ‘টক অফ দ্য টাউন’ রেস্তোরাঁয় স্থানীয় মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরনবী কমান্ডারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বক্তব্য দেন নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের জৌষ্ঠ সহসভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক এমদাদ চৌধুরী।
এছাড়াও সহ-সভাপতি মাসুদ হুসেন সিরাজী, প্রচার সম্পাদক শাহীন ইবনে দিলওয়ার, যুগ্ম সম্পাদক শিবলী সাদিক, মহিলা সম্পাদিকা মুর্শেদা জামান, ইমিগ্রেশন বিষয়ক সম্পাদক কাদের মিয়া, নির্বাহী সদস্য জিয়াউদ্দিন কানু, মহিউদ্দিন হাসান প্রমুখ সভায় আলোচনা করেন।
এতে জানানো হয়, নিউ ইয়র্কের জেএফ বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রী কে স্বাগত জানাতে আওয়ামী লীগের বিপুল জমায়েত থাকবে।
বক্তরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী র সফরকে নির্বিঘ্ন করতে বিএনপি-জামায়াতের সব ধরনের চক্রান্তই রুখে দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে নিউ ইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ।
এর পাশাপাশি সভায় মুক্তিযুদ্ধের উপসেনাপতি এ কে খন্দকারকে অবিলম্বে তার ‘৭১-ভেতরে বাইরে’ বইয়ের ভুল তথ্য সংশোধন করে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান জানানো হয়।
এদিকে জ্যাকসন হাইটসের ফুডকোর্টে যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মিসবাহ আহমেদ এবং পরিচালনা করেন সেক্রেটারী ফরিদ আলম।
সভায় বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিটি কর্মসূচি নিরবিচ্ছিন্নভাবে যাতে শেষ হয় সেজন্য যুবলীগের নেতা-কর্মীরা ‘অতন্দ্র প্রহরী’র ভূমিকা পালন করবে।